অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ জানতে চেয়ে চিঠি দিল তৃণমূল। অভিষেকের নেতৃত্বাধীন অভিযানের ফলো আপ বৈঠক দ্রুত ডাকার জন্য মন্ত্রীকে আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং অনুপস্থিত থাকার কারণে মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে হয়েছিল তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দলকে। গ্রামোন্নয়ণ মন্ত্রকের সচিব আশ্বাস দিয়েছিলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সময় অনুসারে একটি ফলো আপ বৈঠক ডাকা হবে। যে বৈঠকে সাংসদদের প্রতিনিধিদলকে ডাকা হবে এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও তাঁর দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হবে।
তৃণমূলের ২২ সাংসদ ৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকে গিয়েছিলেন। মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় কথা বলেছিলেন সচিব শৈলেশ কুমার সিং। সেখানেই ১৩ এপ্রিলের পর মন্ত্রী দিল্লিতে থাকবেন বলে জানান সচিব। সেই অনুযায়ী দ্রুত পরবর্তী ফলোআপ বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়ে তৃণমূলের এই চিঠি।
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেই সব ইস্যুতে বুধবার দিল্লিতে সরব হন অভিষেক। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আগামী দিনে দিল্লিতেও আন্দোলন করব।’ সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মন্ত্রকে যান অভিষেক। কিন্তু মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। তবে, মন্ত্রকের সচিব তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। গেটের বাইরে অভিষেককে বেশ কিছুক্ষণ ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত আমাদের প্রশ্নের জবাব মন্ত্রীর কাছে নেই। তাই আসেননি। ১৭ লাখ পরিবারের হকের পয়সা আটকে রাখা হয়েছে। আমরা বলেছি, এবার আমরা ৯ মাস অপেক্ষা করব না। জানিয়ে এসেছি। যে টাকা আটকে রাখা হয়েছে, সেটা বিজেপির টাকা নয়। জনগণের টাকা। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আসব।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ‘একমাস আগে সময় নেওয়া হবে। সবকিছু মুখোমুখি হবে। ওরা কিছু দুর্নীতির কথা বলছিলেন। আমরা বলেছি, একটাও দুর্নীতি দেখাতে পারবেন না। শুধুমাত্র বাংলার টাকা কেন আটকানো হচ্ছে?’