ফের মোদী সরকারকে কড়া ভাষায় একহাত নিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। সাফ জানাল, মিথ্যা দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। এমনই অভিযোগ তুলে মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে চিঠি দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। চিঠির নীচে স্বাক্ষরকারী হিসাবে ছিল তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের নাম। ওই চিঠিতে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, গিরিরাজের সচিব দাবি করেছিলেন, মন্ত্রী বিহার চলে গিয়েছেন এবং এক সপ্তাহের জন্য ফিরবেন না। কিন্তু তাঁকে নাকি তার পর দিনই দিল্লীতে দেখা গিয়েছে দিল্লীতে! এমনকী, লোকসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেও গিরিরাজকে সংসদ ভবনে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে তৃণমূল। আর এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূলের তরফে সরাসরি মন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা হয়েছে, “আপনার সচিব বলেছিলেন আপনি বিহারে চলে গিয়েছেন এবং এক সপ্তাহের জন্য ফিরবেন না। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে খেয়াল করি, আপনি দিল্লীতেই রয়েছেন। আমাদের সাংসদরাও আপনাকে লোকসভায় দেখতে পান এবং সংসদে আপনার কাছে তাঁরা দাবিদাওয়া জানান।”
প্রসঙ্গত, এক জন মন্ত্রীর সচিবালয়ের কাছ থেকে এই ধরনের মিথ্যাচার আশা করা যায় না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটাতে গিরিরাজের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আরও এক বার মন্ত্রীর সময় চাওয়া হয়েছেও ওই চিঠিতে। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। ওই দিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের নেতৃত্বে ২৫ জন সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির কৃষিভবনে যায়। কিন্তু মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে সচিবের কাছেই নিজেদের দাবির কথা জানান সাংসদরা। সচিবের সঙ্গে কথোপকথনে অভিষেক বলেন, “১০০ দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ এলে প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত করুন, আদালতে যান, কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য মিটিয়ে দিন।” সচিব তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে জানান, সকালে সংসদে ছিলেন মন্ত্রী। তার পর নিজের সংসদীয় এলাকার কাজে বিহারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রকে ছিলেন না গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীও। সচিব সাংসদদের বসতে বলে চা-কফি খেতে বলেন। কিন্তু অভিষেক তাঁকে বলেন, “আমরা চা-কফি খেতে আসিনি। আমরা প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি চাই।” এরপর দুপুর ২টো নাগাদ ২৫ জন তৃণমূল সাংসদ কৃষি ভবনের মধ্যেই ধর্নায় বসেন।