গত জানুয়ারিতেই অক্সফ্যাম প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মোদী জমানায় দেশের ৪০ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তিদের হাতে। নয়া সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছিল, ভারতের ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানির আয়ের ওপর এককালীন কর বসালেই প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। আর তারপরেই এবার মোদী সরকারের কোপে পড়তে হল অক্সফ্যামকে। এবার সিবিআইয়ের নজরে এই বিদেশি অলাভজনক সংস্থার ভারতীয় শাখা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি, অক্সফ্যামের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিদেশি অর্থ অন্য বহু সংস্থার সঙ্গে লেনদেন করার। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ। কিন্তু তা লাগু হওয়ার পরও এই ধরনের লেনদেন চালিয়ে গিয়েছে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া, অভিযোগ এমনই। আর তাই কেন্দ্রের নির্দেশ সিবিআই যেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখে।
সূত্রের দাবি, গত বছরই নাকি আয়কর দফতর এই ধরনের লেনদেন সংক্রান্ত ইমেলের সন্ধান পেয়েছিল। আর সেই মেলগুলি থেকে জানা গিয়েছে, অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া অন্য এফসিআরএ সংগঠনগুলিকে অর্থ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে রয়েছে এমন এক সংস্থা, যাদের এফসিআরএ লাইসেন্স গত বছরই বাতিল করে দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই লাইসেন্স বাতিলের উদ্দেশ্য, সেই সংস্থা কোনও বিদেশি অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। সেই সময় কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা করতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের।