প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি রিষড়ায় অশান্তির ঘটনায় এবার কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। ওই রিপোর্টে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর দাবি। পুলিশের দাবি, মিছিল থেকে ক্রমাগত উসকানি দেওয়া হয়েছে। তার ফলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২রা এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার রামনবমীর মিছিল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষার প্রয়োগ করা হয়। ইট, পাথর ছোঁড়া হয়। মিছিলে তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হয় ডিজে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাও ইট, পাথর ছোঁড়া শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এলাকা শান্ত করাতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পুলিশকে বাঁশ, লাঠি, ইট, পাথর দিয়ে আক্রমণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুলিশের গাড়িও।
এরপর ৩রা এপ্রিল সন্ধে ৫টা ৪৫মিনিট নাগাদ বিশাল পুলিশবাহিনী শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে টহল দিতে দিতে রিষড়া এলাকার চার নম্বর রেলগেটের কাছে পৌঁছায়। সেই সময় ৫০০ থেকে ৬০০ স্থানীয় মানুষ জমায়েত হয়। পুলিশের উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে। এরপরই তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে আরও বাহিনী ডাকা হয়। এবং পুলিশবাহিনী উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করার সবরকম চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশ, লাঠি, ইট, পাথর দিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। একটি সরকারি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ব্যবহার করে। জনতা আরও হিংস্র হয়ে ওঠে। পুলিশকে খুন করে ফেলব এই হুমকি দিয়ে তলোয়ার এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখাতে থাকে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় রেল কর্তৃপক্ষের একটি গাড়িতেও। এরপরই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।