আইরিশদের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। শুক্রবার ম্যাচের চতুর্থ দিন আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারালেন শাকিব আল হাসানরা। আইরিশরা জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দেয়। ৩ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিলেন শাকিবরা। ম্যাচের তৃতীয় দিন ব্যাট হাতে প্রতিরোধের দেওয়াল তুলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা। দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁদের রান ছিল ৮ উইকেটে ২৮৬। শুক্রবার সেই রানকে বেশি বাড়াতে পারেননি তাঁরা। ২৯২ রানে অলআউট হয়ে যান আইরিশরা। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন ৭২ রান করে আউট হলেন এবাদত হোসেনের বলে। আর এক অপরাজিত ব্যাটার গ্রাহাম হিউম আউট হলেন ১৪ রান করে। বাংলাদেশের সফলতম বোলার তাইজুল ইসলাম ৯০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নেন এবাদত। জয়ের লক্ষ্য সহজ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান শাকিবরা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দালের কেউই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলে না। তামিমের ব্যাট থেকে এল ৩১ রান। সাদা বলের ক্রিকেটের মেজাজে ব্যাট করে ১৯ বলে ২৩ রান করলেন লিটন। ব্যর্থ তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)।
এরপর বাংলাদেশকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিল মুশফিকুর রহিম এবং মোমিনুল হকের জুটি। মুশফিকুর অপরাজিত থাকলেন ৫১ রান করে। মোমিনুলের ব্যাট থেকে এল ২০ রানের ইনিংস। ৩ উইকেটে ১৩৮ রান তুলে বিশ্বরেকর্ডের টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। প্রথম দেশ হিসাবে অন্য ১১টি টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধেই খেলে ফেলল বাংলাদেশ। এমন নজির লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম সারির দেশগুলিরও নেই। স্বভাবতই বিশেষ এই ম্যাচ জিতে খুশি শাকিবরা। বাংলাদেশ অধিনায়কের মুখে শোনা গিয়েছে আয়ারল্যান্ডের প্রশংসা। প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীদের লড়াইয়ের কথা বলেছেন শাকিব। মেনে নিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁদের বোলিং ভাল হয়নি। ‘‘জয় এলেও আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। এই ম্যাচে আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলাম। কিছু ইতিবাচক ফল পেয়েছি’’, জানিয়েছেন শাকিব।