এখনও কাটেনি জটিলতা। বিগত কয়েক বছর ধরেই ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার ঘিরে তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়। উক্ত পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। অ্যাসবেস্টস শিশুশরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। এমন দাবি ঘিরেই চলছে তোলপাড়। এই সংক্রান্ত মামলাগুলি শেষ করতে এবার ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দিল সংস্থাটি। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৩ হাজার ৮৬ কোটি টাকা। নিউ জার্সির সংস্থাটির বক্তব্য, দেউলিয়া আদালত যদি তাদের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় তাহলে এর মাধ্যমে ‘কসমেটিক ট্যাল্ক’ সংক্রান্ত মামলাগুলির সব দাবির ন্যায়পূর্ণ সমাধান হবে। যদি শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি অনুমোদন পায়, তাহলে তা হবে মার্কিন ইতিহাসে কোনও পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ অঙ্কের সমঝোতা। ওই অর্থ সমস্ত মামলাকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে, সংস্থার তরফে দেওয়া হয়েছে এমনই প্রস্তাব।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাস থেকে আমেরিকা ও কানাডায় এই পাউডারের বিক্রি বন্ধ। যদিও জনসন অ্যান্ড জনসনের তরফে কখনওই ওঠা অভিযোগকে স্বীকার করা হয়নি। বরং তাদের দাবি, যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার সপক্ষে তেমন কোনও মজবুত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। উল্লেখ্য, ১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। সংস্থার প্রতীকী পণ্য হয়ে উঠেছিল এটিই। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমতে শুরু করে পাউডারটির চাহিদা। সেই থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই প্রতিকূল হয়ে উঠেছে। আমেরিকার এক আদালত সংস্থাটিকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানার শাস্তি দিয়েছিল। আদালতের বক্তব্য ছিল, সংস্থাটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। এ অপরাধের শাস্তি কেবল অর্থের জরিমানাতেই শেষ হতে পারে না, এমনটাই জানিয়েছিলেন বিচারক।
