সম্প্রতিই রামনবমীর উদযাপন ঘিরে বিহারে হিংসা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এবার এপ্রসঙ্গে অমিত শাহ ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে একযোগে দায়ী করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। বললেন, বিহারে রামনবমীর হিংসা আসলে অমিত শাহ এবং আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ফসল। নীতীশের দাবি, বিহারে রামনবমীর হিংসার নেপথ্যে আসলে বিজেপি। আর বিজেপির এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর ইঙ্গিত, দুই শিবিরের যোগসাজশেই সমস্যার সূত্রপাত। বিহারে সাম্প্রদায়িক হিংসা এক ব্যক্তির প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। নালন্দার বিহারশরিফ এলাকায় শনিবার বোমা বিস্ফোরণে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে এখনও বিহারের নালন্দা জেলার বিভিন্ন এলাকা থমথমে। স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধায় বিহারের সসারাম এবং নালন্দার বিস্তীর্ণ এলাকা রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। একাধিক জায়গায় ছোটছোট সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হন। মূলত সংখ্যালঘু এলাকা দিয়ে রামনবমীর মিছিল যাওয়ার সময় বেধেছে অশান্তি।
নীতীশের বক্তব্য,‘‘বিহারে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বাধানোর ছক কষেছিল বিজেপি। আর আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বিজেপির এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন।’’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিহারের হিংসা প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, এটা আসলে কিছু মানুষের ষড়যন্ত্রের ফসল। নীতীশ বলে দিচ্ছেন, ওয়েইসির দল ঘুরিয়ে বিজেপি সাহায্য করছে। জেডিইউ এবং আরজেডির অভিযোগ, বিহারে ক্ষমতা হারিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়াশিবির। সেজন্যই ধর্মীয় উসকানি দিয়ে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাতে মদত দিচ্ছে এআইএমআইএম। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে। উসকানি দিলে কেউ রেহাই পাবে না। এর আগে বাংলায় সংঘটিত হিংসার জন্যও বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে জেডিইউ।