আর দু’সপ্তাহ পর ইদ। যা ঘিরে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে তার মধ্যেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে প্রায় পুড়ে ছাই ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারের ৫ হাজার দোকান। যার ফলে কার্যত সর্বশান্ত হয়ে গেলেন ব্যবসায়ীরা। ইদের বাজার জমাতে প্রচুর জামাকাপড় তুলেছিলেন তাঁরা। সবই ছিল দোকানের মধ্যে। বিধ্বংসী আগুনে সেসব জ্বলে পুড়ে খাক, কিছুই বের করতে পারেননি তাঁরা। এদিকে, কয়েকঘণ্টা পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম দশা দমকল বাহিনী। জল সংকটের জেরে কাজে সমস্যা হচ্ছে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুন নেভাতে আসরে নেমেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় দমকল বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট। পরে ইউনিটের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও আগুন আরও বিধ্বংসী আকার ধারণ করে ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরেকটি মার্কেটে। পুলিশের সদর দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, পশু হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর গাড়ি এনে জল দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম দশা দমকল বাহিনীর। এখনও আগুন লাগার কারণ পর্যন্ত জানা যায়নি।