মোদী জমানায় শিক্ষায় গৈরিকীকরণের অভিযোগ তো ছিলই। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে ইতিহাস পাল্টে ফেলারও অভিযোগও হামেশাই উঠছে। বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ, মোঘল আমলের ইতিহাস ধীরে ধীরে বদলে ফেলছে গেরুয়া শিবির। সেই অভিযোগ যে মোটেই ভ্রান্ত নয় এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। যোগী রাজ্যে এবার কোপ পড়ল সরাসরি মুঘল ইতিহাসে! সূত্রের খবর, দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে ওই ‘বিশেষ’ অধ্যায় পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আর মুঘল ইতিহাস পড়তে হবে না বলে জানিয়েছে তারা। শুধু ইউপি বোর্ড নয়, সিবিএসই-র পাঠ্যক্রমেও মুঘল বাদশাদের নিয়ে একটি শব্দও থাকবে না বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুঘল শাসদদের বরাবরই বহিরাগত বলে দাবি করে এসেছে গেরুয়া শিবির। ঠিক সেই কারণেই মুঘল নামাঙ্কিত প্রায় কিছুরই অস্তিত্ব তারা রাখতে চায় না দেশে। এ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিশেষ আর্জিও পৌঁছে ছিল। বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে আদালতকে বলেছিলেন, নামবদলের কাজ সহজ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে একটি কমিশন গড়া হোক। যা সরাসরি খারিজ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ‘আপনারা কি দেশে আগুন লাগাতে চান?’ ভারত যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, তা স্মরণ করিয়ে দিয়েই পরোক্ষে মুসলিম বা মুঘল আমলের নামবদলের তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত। তবে গেরুয়া শিবির যে তাদের নিজের অবস্থানেই অনড়, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল ইউপি-র সিলেবাস-বদলে!
