ফের পূর্ব মেদিনীপুর সফরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পা রেখেই প্রায় তিন লক্ষ মানুষের হাতে তুলে দেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। খেজুরি ঠাকুরনগরের মঞ্চ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস মিলিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার উপহার জেলার বাসিন্দাদের দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই বিজেপি, সিপিআইএম-কে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ’আমি অনেকদিন বাদে ইলেকশনের পর সম্ভবত এখানে এলাম আমি। খেজুরিতে আমি এর আগেও মিটিং করতে এসেছি। আপনারা জানেন নন্দীগ্রাম,ভগবানপুর এই জায়গায় এসে সংগঠিত হয়েছে।’
এরপরই সিপিআইএম জমানার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একসময় খেজুরিতে ঢোকা যেত না। আমার এক ছাত্রী বান্ধবী ছিল। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তারপর তার বাবার নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। আজ সিপিআইএম-এর হার্মাদগুলো বিজেপি হয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়ে গুলোকে পুলিশে ঢুকিয়েছে পোস্ট ভায়োলেন্সের নাম করে। নন্দীগ্রামের অত্যাচার কাহিনি আপনারা জানেন।’
এরপরই তিনি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘আমি যতদিন বাঁচব ততদিন আন্দোলন করে যাব। আমাকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। আজ যারা যারা বড় বড় কথা বলে তাদের কিছু বলব না। এর জবাব মানুষ দেবে। নন্দীগ্রামের ছেলেমেয়েদের জেলে পাঠিয়েছে। খেজুরির ছেলেমেয়েদের জেলে পাঠিয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘আজ থেকে যাদের প্রয়োজন বুথে বুথে দুয়ারে সরকার হচ্ছে, আগে নিয়ম ছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকবে, তারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবে। এখন সেই নিয়ম বদলে দিয়েছি। যাদের স্বাস্থ্যসাথী নেই, তারাও লক্ষ্মীর ভান্ডারে আবেদন করুন। আপনারা যদি আমাকে ১ পার্সেন্ট দেন, আমি আপনাদের ১০০ পার্সেন্ট দেব। জীবন দিয়ে দেব। আগামী দুদিন দিঘাতে থাকব। জগন্নাথ মন্দির দেখব। ৭ কিলোমিটার বিচ করেছি। সেটা দেখব।’