সিপিএম আমলে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে বাম নেতাদের পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। প্রথমেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক সম্মেলন করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নিয়োগ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন। তারপর আরও একধাপ এগিয়ে প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘কোনও পরীক্ষা হত না। নাম কা ওয়াস্তে ইন্টারভিউ হত। সিপিএমের মতো ফরওয়ার্ড ব্লকও টাকার ভাগ পেত’। এবার ফের বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দাগল তৃণমূল। রবিবার দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বামফ্রন্ট জমানায় ডাক্তারি পড়তে মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল। এই কোটা ২০১১ সালের পর তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম জমানায় মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় কজন এবং কারা ডাক্তারি পড়েছিলেন, অধিকাংশই জয়েন্টে সুযোগ না পেয়েও কোটায় ঢোকার অভিযোগ উঠত কেন, সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করুক সিপিএম।’
প্রসঙ্গত, প্রথমে তৃণমূলের তরফে সুজনবাবুর স্ত্রীর চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। এরপর নতুন একটি তালিকা প্রকাশ করে কুণাল জানিয়েছেন, সুজন চক্রবর্তীকে ঘিরে আবার একটি তালিকা সামনে এসেছে। সিপিএমের সূত্রেই বেরিয়েছে। তখন রাজ্যে অত বেকার, আর ওই বৃত্তে সবাই চাকরি পেয়েছেন। তৃণমূল মুখপাত্রের প্রকাশ করা তালিকাতে দেখা গিয়েছে, সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুর শান্তিময় ভট্টাচার্য, বড় ভায়রা অমিতাভ সেন, বড় শালি ছবু ভট্টাচার্য, বড় শালির ছেলে, মেজ ভায়রা, মেজ শালি, সেজ শালি, ছোট ভায়রা সহ ১৩ জনের নাম রয়েছে, যারা সরকারি চাকরি বা পদে ছিলেন। কুণালের প্রশ্ন, ‘সুজনদা, তালিকা কি ঠিক? যদি ঠিক হয়, এত জনের চাকরি দৃশ্যত কি স্বাভাবিক? যদি তালিকা ভুল হয়, রটনা হয়, তাহলে নিন্দা করা হবে। যদি ঠিক হয়, তদন্ত হোক।’
