বাজেট অধিবেশনের শেষ ৩ দিন সংসদের ভিতরে ও বাইরে মোদী সরকারকে চেপে ধরতে কোমর বেঁধে নামছে বিরোধীরা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কলকাতার ধর্নামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য পেশ করেছিলেন, সেই বক্তব্যকে সে দিনই সংসদের দুই কক্ষে নোটিস আকারে জমা দেওয়া হয়েছিল আলোচনার জন্য। কিন্তু সে দিন লোকসভা এবং রাজ্যসভা অচল হয়ে যাওয়ায় সোমবারের জন্য ফের একই নোটিস জমা দিয়েছেন দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তৃণমূল গণতন্ত্র, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং সংসদীয় ব্যবস্থাকে বাঁচানো নিয়ে আলোচনা চেয়েছে।
লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়া এই নোটিস নিয়ে যে আলোচনার কোনও সম্ভাবনাই নেই তা ভাল করেই জানেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে মমতার ‘দিল্লী চলো’ ডাককে সংসদে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। ডেরেক জানিয়েছেন, ‘গত ছ’বছরে সাংসদদের দেওয়া কোনও নোটিসের উপরে একটি আলোচনাও হয়নি। ২০১৪ থেকে ২০২১-এর মধ্যে সংসদে পেশ করা ৩০১টির মধ্যে মাত্র ৭৪টি বিল আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে সংসদীয় কমিটিতে। সংসদকে অন্ধকার রুদ্ধ কক্ষে পরিণত করা হচ্ছে।’
