সম্প্রতিই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দিল্লী। একটি বদ্ধ ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল পরিবার। সেই জ্বলন্ত মশার কয়েল পড়ে গদিতে। তারপর তা পুড়তে থাকে। মশার কয়েলও জ্বলছিল। মুহূর্তেই বদ্ধ ঘর ভরে যায় বিষাক্ত গ্যাসে। এর জেরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন ঘরে থাকা মানুষজন। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ছ’জনের। শুক্রবার দিল্লীর শাস্ত্রী পার্ক এলাকার এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃতদের মধ্যে চার জন বাংলার বাসিন্দা। তিনজন মালদহের এবং এক জনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার শোক প্রকাশ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। শনিবার তিনি টুইটে জানান, “দিল্লীতে অত্যন্ত মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি মূল্যবান প্রাণ হারিয়েছি। তার মধ্যে তিনজন মালদার এবং একজন উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। মৃতদের পরিবারকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। দেওয়া হবে সব ধরনের সাহায্য।”
দিল্লী পুলিশের সিনিয়র অফিসার জয় তির্কে বলেছেন, “শাস্ত্রী পার্কের একটি বাড়িতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। রাতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছিলেন ওই পরিবারের লোকেরা। প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরে গিয়েছিল ঘর। এর জেরেই দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।” সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মৃতৈরা হলেন মালদহের বৈকুণ্ঠপুর বাহারল এলাকার ফজলুর চৌধুরী (বয়স ৪২ বছর), মানিকচকের মোহনার বছর চল্লিশের জাহেদুল হক, নাগরাই নরহাট্টার ৪০ বছরের টুলু শেখ এবং উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা ফাতিরুল শেখ। দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে তাঁদের মৃতদেহ রাজ্যে নিয়ে আসার কথা। এছাড়া, আহত দু’জন মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা।