ফের শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতে কেউ অশান্তি তৈরির চেষ্টা করলে, তাঁদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সম্প্রতি চোপড়ায় পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটে, তাতে মৃত্যু হয় দু’জনের৷ শাসক শিবিরের এই দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিরোধীরা৷ যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, প্রার্থী ঠিক করবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘পঞ্চায়েতের টিকিট কে পাবেন, তা দলই ঠিক করবে। নীচু তলায় আলোচনা হতে পারে৷ কারও নাম পাঠাতেই পারে। সেটা পর্যালোচনা করে, যাচাই করে দলই চূরান্ত সিদ্ধগান্ত নেবে প্রার্থী কে হবেন’। তিনি আগেও বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। কেউ অশান্তি করলে ফল ভাল হবে না। দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈষম্যকে দূর করতে হবে। ২০২১-এর ভোটে হেরে যাওয়ার পরে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।’
সব ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হবে বঙ্গে। সেখানে অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদী বাংলায় সভা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছিলেন, ‘৪০ কেন ৫০০ সভা করুক, কিছু যায় আসে না। এর আগেও তো মিটিং করা হয়েছে।’ অভিষেকের তোপ, ভোট এলেই বাংলার কথা মনে পড়ে কারও কারও।
এ দিন দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির প্রমাণ পেলে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল, জানিয়েছেন অভিষেক।পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কোনওভাবেই দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না, বিশেষ নির্দেশ তাঁর। দলীয় নেতৃত্বকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন আগেই। তার আগে সাংগঠনিক বৈঠকেও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না। অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। কোনও প্রশাসনিক কাজে ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রদর্শন করা যাবে না।” অর্থাৎ ‘তৃণমূল স্তরে’ মানুষের জন্য কাজ করেই ভোটবাক্সে সুফল আনতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, বুথে বুথে গিয়ে জনসংযোগ বৃদ্ধি করার।