সম্প্রতি সুরাতের আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ার পরই তড়িঘড়ি খারিজ করে দেওয়া হয় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। যা নিয়ে এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে শোরগোল চলছে। নিন্দার ঝড় ধেয়ে আসছে দেশের বাইরে থেকেও। রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ নিয়ে আমেরিকার পক্ষ থেকে তো তাও গণতন্ত্রে বাক্স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও এক পা এগিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার আইনি পরমর্শ পর্যন্ত দিয়ে ফেলেছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের ইস্যুতে পশ্চিমের বাক্যবাণে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে সাউথ ব্লক। তবে বিষয়টিকে রাজনৈতিক স্তরেই রেখে, সরকারের তরফ থেকে এখনও মুখ খোলা হয়নি। বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ স্তর থেকে অবশ্য ঘরোয়া ভাবে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে এই বিষয় নিয়ে কোনও ভিন্ রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা কর্তা একটি বাক্যও ব্যয় করেননি। বিষয়টি ভারতের আইন আদালতের। ফলে বাইরের কোনও রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহি বা কৈফিয়তের প্রশ্ন ওঠে না। তবে কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, জটিল ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে এই নিয়ে আমেরিকা বা জার্মানির মতো শক্তিধর এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (ভারতের জন্য) রাষ্ট্রের সঙ্গে এখনই জলঘোলা করতে চাইছে না মোদী সরকার। বাক্যবাণ আপাতত হজম করা হচ্ছে।
