ডিসেম্বরে গুজরাতে বিধানসভার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলির মধ্যে ছিল রাজ্যের শিক্ষার হাল। সে সময় কংগ্রেস মোদী রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে বেহাল শিক্ষার কথা তুলে ধরলে গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছিল গুজরাতের শিক্ষা ব্যবস্থাই গোটা দেশে মডেল হতে পারে। বিরোধীরা তারপর সরকারি স্কুলে শিক্ষকের শূন্য পদের হিসাব চাইলে সরকার তা এড়িয়ে যায়। এবার জানা গেল, গুজরাতে স্কুল শিক্ষক ও প্রিন্সিপ্যালের ৩৩ হাজার পদ শূন্য। স্বয়ং গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিন্দর রাজ্য বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন। আর তারপরই বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, ভোটের আগে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে।
কুবের দিন্দর জানিয়েছেন, স্কুলে ২৯,১২২ জন শিক্ষকের পদ ফাঁকা। প্রিন্সিপ্যাল নেই ৩৫৫২টি স্কুলে। রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা রিপোর্টের অস্বস্তিকর দিকটি হল, সরাসরি রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলগুলিতে কুড়ি হাজারের বেশি শিক্ষক পদ ফাঁকা। এরমধ্যে ১৭ হাজার পদ শূন্য প্রাইমারি স্কুলেই। ফলে প্রাথমিক শিক্ষাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সেখানে। রাজ্যের ভূপেন্দ্র প্যাটেল মন্ত্রিসভার রিপোর্ট অনুযায়ী গুজরাতের ৩৩টি জেলার একটিতেও সেকেন্ডারি এবং হায়ার সেকেন্ডারি স্তরে কোনও ইংরিজি মাধ্যম স্কুল নেই। জামনগর ও দ্বারকা হল গুজরাতের দুটি বড় জেলা। রিপোর্ট অনুযায়ী এই দুই জেলার বেশিরভাগ স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব ও সায়েন্স ল্যাব নেই।
