বরাবরই দূরপাল্লার ট্রেনে লোয়ার বার্থ পেয়ে থাকেন প্রবীণ নাগরিক, মহিলা এবং অসুস্থ যাত্রীরা। এই বিধি নতুন নয়। কিন্তু, গত কয়েক বছরে তা কার্যত শিকেয় উঠেছে। যার জেরে ঝক্কি পোহাতে হতে হচ্ছে বহু মানুষকে। সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে ২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময় থেকে। এবার এ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)। দেবের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এর জন্য প্রতিটি কোচে নির্দিষ্ট সংখ্যক বার্থ রয়েছে।
দেবের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি স্লিপার কোচে ৬ থেকে ৭টি বার্থ, এসি থ্রি টিয়ারে ৫ থেকে ৬টি, এসি টু টিয়ারে ৩ থেকে ৪টি লোয়ার বার্থ নির্দিষ্ট করা আছে। প্রবীণ, ৪৫ বছরের বেশি বয়স্ক মহিলা এবং অন্তঃসত্ত্বাদের জন্যও বার্থ নির্দিষ্ট রয়েছে।’ রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ৪৫ বছরের বেশি বয়সি কোনও মহিলা, অন্তঃসত্ত্বা, অথবা প্রবীণ নাগরিক আপার বার্থ পেলে কোচের দায়িত্বে থাকা টিকিট পরীক্ষক সেই যাত্রীর আসন বদল করে লোয়ার বার্থ করে দিতে পারেন। রেল মন্ত্রকের কাছে তৃণমূল সাংসদ প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ভর্তুকি বা ছাড় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সে প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে করোনার সময় থেকে রেলের টিকিটে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।