আগামীকাল, অর্থাৎ শনিবার থেকেই সারা বাংলাজুড়ে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ পর্যায়ের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী। আগামী ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত ওই ক্যাম্প থেকে মিলবে ৩২টি প্রকল্পের সুবিধা। তবে এই প্রথমবার ক্যাম্পে থাকবে অভিযোগ-বাক্স। ফলে কাউকেই শিবির থেকে ফেরানো যাবে না। মোট ৩২টি প্রকল্পের কোনও না কোনও সুবিধা উপভোক্তাদের দেওয়া হবে। প্রকল্পের সুবিধা পেতে বিধিমতো যে যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, তা না থাকলেও সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা কেন যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি যদি পরিষেবা পাওয়ার যোগ্য হন, তাহলে তা পাইয়ে দিয়ে তাঁকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে মোট ৩২টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’, ‘মেধাশ্রী’, ‘বাংলা কৃষি সেচ যোজনা’, ‘বিধবা ভাতা’। ২০২১ সালের গোড়া থেকে যে পাঁচটি দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে তাতে এই চারটি প্রকল্পের সুবিধা মিলত না। এবার সেগুলি পাওয়া যাবে।
প্রহঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে থাকবে প্রধান, সহযোগী এবং মোবাইল ক্যাম্প থাকবে। বুথে বুথে ‘দুয়ারে সরকারে’র জন্য এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার করছেন ফোনের মাধ্যমে। আইভিআরএস (ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স সিস্টেম) পদ্ধতিতে আপাতত বাংলার প্রায় ৪ কোটি মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন যাবে। বুধবার বিকেল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন শুরু হয়েছে। মোবাইলে ভেসে উঠছে ‘মমতা ব্যানার্জি কলিং’। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন বার্তা, “নমস্কার, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে রমজান মাস ও বাংলা নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। ‘দুয়ারে সরকার’ শুরু হতে চলেছে ১ এপ্রিল থেকে। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। সকলে ভাল থাকবেন।” শনিবার থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের মধ্য দিয়ে রাজ্যের ২৩টি জেলায় ডিজিটাল ট্যাবলো ঘুরবে। এই ডিজিটাল ট্যাবলোতে রাজ্যের ১২ বছরের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে দেখানো হবে ৪০ মিনিটের একটি ভিডিও। এই ভিডিওর নাম ‘উন্নয়নের পথে ১১ বছর’।