কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের ব্যাঘ্র সংরক্ষণের ফান্ড থেকে এক কোটি টাকারও বেশি খরচ আসাম সরকার। এই বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রীর আপ্যায়ণে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সস্ত্রীক কাজিরাঙা সফরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। দুই রাত তিন দিনে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া, তাঁবু, কার্পেট এবং স্মারকের জন্য খরচ হয়েছিল ১.১ কোটি টাকা!
তথ্যের অধিকার আইনে করা মামলার উত্তরে ন্যাশনাল পার্কের ফিল্ড ডিরেক্টরের অফিস এও জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল কনজারভেটর অফ ফরেস্টের অফিস এবং রাজ্যের মুখ্য বন্যপ্রাণ ওয়ার্ডেন এম কে যাদবের তরফে অন্য একটি বন্যপ্রাণ ফান্ড থেকে অতিরিক্ত ৫১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই অর্থ খরচ হয়েছিল অতিথি অভ্যাগতদের জন্য লাল কার্পেটের ব্যবস্থায়। আরটিআই-এর জবাবে রাজ্য ফিল্ড ডিরেক্টরের অফিস জানিয়েছে, মোট ১,৬৪,১৬,০০০ টাকা খরচ করা হয়েছিল। এই অর্থ বরাদ্দ ছিল জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য।
২০২১ সালের জুলাই মাসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রামনাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। অসম সফরের সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। ২০২২-এর ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি অসমে সফর করবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারও আগেও ২২ ফেব্রুয়ারি তেজপুর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিত কনভোকেশন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে কাজিরাঙা পার্কে বেড়াতে চলে যান তিনি। ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি ফিরে যান কোবিন্দ।
সে সময় এই নিয়ে যথেষ্ট বাহবা কুড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, তাঁর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি যে সাড়া দিয়েছেন তা রাজ্য সরকারের বড় সাফল্য। সুতরাং সেই সফরে, বিশেষ করে কাজিরাঙায় যে এই বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছিল তা অবশ্যই তাঁর গোচরে ছিল। প্রসঙ্গত, রোহিত চৌধুরি নামে এক স্থানীয় পশু অধিকার কর্মী এই অর্থ ব্যয়ের হিসেব দেখতে চান। তার জবাবেই এই তথ্য দিয়েছে ফিল্ড ডিরেক্টরের অফিস। এও জানানো হয়েছে, ব্যাঘ্র সংরক্ষণের তহবিল থেকে টাকা নিয়ে ব্যয় করা হয়েছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির আপ্যায়ণে। রোহিত জানিয়েছেন, তাঁর আরটিআই-এর জবাব এসেছে ছ’ মাস পরে।