রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়ে তারা খোঁজখবর রাখছে বলে আগেই জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। এবার একই কথা জানায় জার্মানি। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মান এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি রাহুলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত, মনে করে জার্মানি।
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, কোনও বিদেশি রাষ্ট্রদূত তাঁর কাছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি উত্থাপন করেননি। তিনি বলেন, আসলে রাষ্ট্রদূতেরা ভারতের আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল।
যদিও দুটি বৃহৎ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট কংগ্রেস সাংসদের সদস্যপদ চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের মানদণ্ডে মেপে দেখছে তারা। বিশেষ করে বাইডেন প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রকে আতস কাঁচের তলায় রেখে দেখছে।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘ভারতের বিরোধী দলের রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালতের রায় এবং তারপর তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আদেশটি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। আমরা শুনেছি রাহুল গান্ধী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তারপর বোঝা যাবে, এই রায় ও সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কিনা।