বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মোট ১৪ জনকে নিয়ে আসা হল আলিপুর আদালতে। সাত দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের হবে শুনানি। এদিন পার্থের অনুগামী কয়েক জনকে আদালতের বাইরে তাঁর পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। তবে আদালতে ঢোকার মুখে পার্থকে কিছু বলতে শোনা গেল না। নীরবই রইলেন তিনি। গত বর্ষায় গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। তার পর থেকে বন্দিজীবন কাটিয়ে ফেলেছেন আট মাস। সেই আট মাসের হিসাব দিয়ে আদালতে পাঁচ মিনিট বলতে চেয়েছিলেন পার্থ। বৃহস্পতিবার বলার সুযোগও পেয়েছিলেন। সেই পাঁচ মিনিটে আত্মপক্ষ সমর্থনে দীর্ঘ আর্জি জানান পার্থ। একই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার আশা, সত্যের জয় হবে। আইনের উপর আমার আস্থা আছে।’’ পাশাপাশি, সিপিএম এবং বিজেপি নেতাদের নাম করে চাকরির সুপারিশের অভিযোগও করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পার্থ সেদিন বলেছিলেন, ‘‘যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯-১০-এর সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন কারণ, আমি তাঁদের বলেছি করতে পারব না! আমি নিয়োগকর্তা নই। এ ব্যাপারে কোনও সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১-১২ সালটা দেখুন না! ডিপিএসসি-টা কী করেছিলেন।’’ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পার্থ, সুবীরেশদের আলিপুরের জেলা দেওয়ানি এবং দায়রা আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, চন্দন মণ্ডল, প্রদীপ সিংহ, প্রসন্ন রায়েরা।