মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে মন্দা। চরমে পৌঁছে গিয়েছে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। রাজস্ব আদায়ও তলানিতে ঠেকেছে। এমতবস্থায় রাজকোষ ভরাতে মরিয়া কেন্দ্র। নয়া অর্থবর্ষের শুরু থেকেই কোষাগার ভরাট করতে চাইছে মোদী সরকার। সাধারণ মানুষের অর্থ দিয়েই ভাঁড়ার ভর্তি করতে চাইছে শাসকদল বিজেপি। স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে নয়া গ্রাহকদের এবং কেওয়াইসি পূরণে এখন থেকে আর প্যান কার্ড নম্বর বাধ্যতামূলক নয়, এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সরকারিস্তরে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে চূড়ান্ত বৈঠক হবে। নতুন অর্থ বছরের শুরু থেকে এই নিয়ম কার্যকর করতে চাইছে অর্থমন্ত্রক। মূলত স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিকে বেছে নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস প্রকল্প, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট ইত্যাদিকে টার্গেট করা হচ্ছে। এখন থেকে জনধন যোজনার ক্ষেত্রেও আধার কার্ডের মাধ্যমে কেওয়াইসি জমা করা যাবে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ৫৩ কোটি মানুষের কাছে প্যান কার্ড রয়েছে। আধার কার্ডের সংখ্যা ১৩৪ কোটি। যদিও কেন্দ্রের দাবি, ভুয়ো আধারও রয়েছে। সেগুলির বাতিল প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে, গ্রামীণ ভারতের এখনও প্যান কার্ড পুরোপুরি পৌঁছয়নি। ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই আর ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের গ্রাহক হতে পারে না। কিন্তু স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির চাহিদা বিস্তর। অন্যদিকে, নিয়মের ফাঁস আলগা করলে লাভ মোদী সরকারেরই। যত গ্রাহক বাড়বে, তত পূর্ণ হয়ে উঠবে মোদী সরকারের ভাঁড়ার। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়। সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।