বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইমামি গোষ্ঠীর হাতে থাকা আমরি হাসপাতাল। শেষ পর্যন্ত মণিপাল গোষ্ঠীর হাতেই যাচ্ছে তা। যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ। এখন শুধু রাজ্য সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষা। রাজ্য কর্তৃক গ্রিন সিগন্যাল পেলেই ইমামি গোষ্ঠী মণিপাল গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেবে আমরির দায়িত্ব। একটি সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত সূত্র জানাচ্ছে, আমরি হসপিটালসে রাজ্যের অংশীদারিত্ব রয়েছে ২ শতাংশ, বাকিটা ইমামির হাতে। আর এই কারণেই ইমামি ও মণিপাল গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া ডিলে রাজ্যের এনওসি-র প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এই এনওসি পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, একটি সূত্র দাবি করেছে, আমরির জন্য মণিপাল গ্রুপ ইমামিকে ২৪০০ কোটি টাকা দেবে। এই অধিগ্রহণের জন্য মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই গ্রুপ একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তিও করেছে। দাবি করা হচ্ছে, এই পুরো টাকাটাই ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করবে ইমামি গ্রুপ। হাসপাতালের ব্যবসা বাড়াতে এই ঋণ নিয়েছিল সংস্থা।
উল্লেখ্য, আমরির চারটি হাসপাতাল রয়েছে। এরমধ্যে তিনটিই রয়েছে কলকাতায়। অপরটি রয়েছে ভুবনেশ্বরে। কলকাতায় যে তিনটি আমরি রয়েছে, সেগুলি রয়েছে ঢাকুরিয়া, সল্টলেক ও মুকন্দপুরে। সূত্রের দাবি, ইমামি গ্রুপের উপর প্রায় ১৬০০ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। যা নিয়ে গোষ্ঠী ব্যাপক চাপে রয়েছে। এই চুক্তির ফলে একযোগে ঋণ মেটাতে সক্ষম হবে ইমামি গ্রুপ। অপর একটি সূত্র দাবি করেছে, এই চুক্তির পরে মনিপাল গোষ্ঠীর হাতে আমরি হসপিটালসের মোট ৮৩ শতাংশ শেয়ার থাকবে। ১৫ শতাংশ থাকবে ইমামি গ্রুপের হাতে ও বাকি ২ শতাংশ থাকছে রাজ্য সরকারের অংশীদারিত্বেই। এখনও লেনদেন হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে জানানো হয়েছে চুক্তি অনুযায়ী এই ডিলের ৭৫ শতাংশ টাকা এখনই দেওয়া হবে, বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ দেওয়া হবে এক বছর পর। চুক্তি স্বাক্ষরের পর মণিপাল হেলথ ইমামির বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত মামলা তুলে নেবে বলে জানানো হয়েছে। দি আমরির চারটি ইউনিটের হিসেব ধরা হয়, সেক্ষেত্রে আমরির মোট বেড রয়েছে ১১০০টি। অন্যদিকে, মণিপাল গ্রুপের ১৫টি শহরে ২৮টি হাসপাতাল রয়েছে। যার বেড রয়েছে ৭৮০০টি। সুতরাং আমরির ১০০০টি বেড যোগ করলে তা বেড়ে ৯০০০-এর কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াবে।