সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলায়। ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তবে দুশ্চিন্তার মেঘ এখনও কাটেনি পদ্মশিবিরে। বুথ কমিটির রিপোর্ট কি আদৌ সত্য? এবার দলের ভারচুয়াল বৈঠকে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে। জেলা সভাপতি, বিভাগ ও জেলা ইনচার্জদের উপস্থিতিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতার এইধরণের মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে পদ্মপরিবারের অন্দরে। রবিবার রাতে দলের ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল। সেখানে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ দলের বিভাগ ও জেলা ইনচার্জদের পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির সমস্ত জেলার সভাপতিরাও হাজির ছিলেন। সেখানে জেলা সভাপতিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কটা বুথ কমিটি হয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন বিভাগ ইনচার্জরা। সূত্রের খবর, ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি হয়েছে বলে রাজ্য বিজেপির তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গল পাণ্ডে ও অমিত মালব্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৫০ শতাংশর মতো বুথে কমিটি হয়েছে, এই রিপোর্ট শোনার পরই মঙ্গল পাণ্ডে রাজ্য নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘রিপোর্টিং তো খুব ভাল হয়। কিন্তু দেখতে হবে এতে কতটা সত্যতা আছে। পুরোটা যাচাই করা হবে।’’ দিল্লীকে রাজ্য বিজেপির তরফে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে একাধিকবার জল মেশানো রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। বুথে সংগঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে অনেক ভুল রিপোর্ট দিল্লীকে দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে দেখা গিয়েছে, নিচুতলায় সংগঠন বলে কিছু নেই। বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের আগে ২৫ শতাংশ মতো বুথে কমিটি হয়েছিল। এবার দাবি করা হয়েছে, ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের রিপোর্টের উপর যে কেন্দ্রীয় নেতারা বিশ্বাস করছেন না এদিন মঙ্গল পাণ্ডের এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট। এবিষয়ে দলের একাংশের বক্তব্য, এই রিপোর্টেও জল মেশানো রয়েছে। এবার যাচাই করলে তা ধরা পড়ে যাবে বলে প্রমাদ গুনছেন অনেকে। স্বভাবতই নির্বাচনের আগে এহেন পরিস্থিতি চাপে ফেলেছে গেরুয়া-নেতৃত্বকে।
