শেষমেশ দোষী সাব্যস্ত হল কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। প্রসঙ্গত, ১৭ বছর আগের উমেশ পাল অপহরণ ও প্রধান সাক্ষ্য বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যা মামলাতেই আতিক আহমেদকে দোষী সাব্যস্ত করল প্রয়াগরাজ আদালত। শুধু তাই নয়, আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আতিকের সঙ্গে এই মামলায় আরও ২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে প্রয়াগরাজ আদালত। তবে আতিকের ভাই-সহ ৭ জনকে বেকসুর মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যা মামলায় এদিন গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ সহ দীনেশ পাসি এবং খান সৌলত হানিফকে দোষী সাব্যস্ত করেছে প্রয়াগরাজ আদালত। তিনজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে আদালত। অন্যদিকে, এই মামলায় যে ৭ জনকে আদালত বেকসুর মুক্তি দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আতিক আহমেদের ভাই খালিদ আজমি ওরফে আশরফ। আদালতের রায়ের পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গুজরাটের সবরমতী জেল থেকে প্রয়াগরাজের নইনি সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে আতিককে।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন উমেশ পাল হত্যা মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আতিক আহমেদ। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিন আতিক আহমেদকে আদালতে তোলার আগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তার স্ত্রী জয় পল। স্বামীর মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেন তিনি। বলেন, “আমি আশা করব আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। কারণ যদি তিনি বাঁচেন তাহলে হয়তো আমরা বাঁচতে পারব না। যদি তিনি চলে যান, তাহলে সন্ত্রাসও বিদায় নেবে।” প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পালকে খুন করা হয়। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলেও অপহরণের মামলা চলাকালীন সে বছরই ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনের আলোয় হত্যা করা হয় রাজু পালকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। এর পরের বছর, ২০০৬ সালে রাজু পাল খুনের ঘটনার প্রধান সাক্ষ্য উমেশ পালকে অপহরণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ আতিক আহমেদ ও তার ভাই সহ আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল।
