কেন্দ্রের ‘আর্থিক বঞ্চনার’ বিরুদ্ধে কলকাতায় টানা দু’দিনের জন্য ধর্নায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যআয়। একই সঙ্গে বুধবার ধর্মতলায় ছাত্র যুবদের নিয়ে সভা ডেকেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের এক সদস্যকেও নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। তাঁকেও বুধবারই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের মধ্যে ক্ষোভ গোপন করলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকে কথা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বাকি মন্ত্রীদের সামনে বলেন, ইডি-সিবিআই তো আমার পিছনে পড়ে রয়েছে। বাড়ির মেয়ে-বউদেরও নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি বালিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল ওরফে জিত্তি ভাই নামে ওই ব্যবসায়ীকে জেরার সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছিল। কাজরী তৃণমূলের কাউন্সিলর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই তথা কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। সম্ভবত তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এভাবে তাঁর পরিবারের দিকে আঙুল তোলা নিয়ে এর আগেও একবার জবাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা আমার ভাই আর ভাইয়ের বউকে বিজেপিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা যায়নি’। মমতা বোঝাতে চান, সেই কারণেই এখন ইডি পিছনে লেগেছে। এ কথা বলে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে জিত্তি ভাইয়ের একটি ছবিও বিধানসভায় পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না নিয়ে ইতিমধ্যে বিচলিত হয়ে পড়েছে বিজেপি। যে কারণে সোমবার তড়িঘড়ি দিল্লি গিয়ে অমিত শাহদের সঙ্গে শলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ষড়যন্ত্র করেই দিদির ধর্নার দিন এসব হাজিরার নোটিস পাঠানো হচ্ছে। যাতে মমতার এই ধর্না কর্মসূচিকে লঘু করে দেখানো যায়।