অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে মার্কিন মুলুকে। গত বছরেই টেক্সাসের উভালদের একটি স্কুলে বন্দুকবাজের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জন পড়ুয়া সহ ২১ জনের। তার পরপরই ওকলাহোমার তুলসায় হাসপাতালে বন্দুকবাজের গুলিতে চার জন মারা যান। তারপর উত্তর ওয়াশিংটনের ইউ স্ট্রিটেও এক মিউজিক কনসার্টে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় এক নাবালকের। সম্প্রতি বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত হয় ক্যালিফোর্নিয়াও। এবার ন্যাশভিলের একটি প্রাথমিক স্কুলে বন্দুকবাজের হানায় মৃত্যু হয় তিন শিশু-সহ ৬ জনের। আততায়ীকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে, স্কুলের মানচিত্র এঁকে হামলা চালিয়েছিল ওই বন্দুকবাজ। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ আচমকাই গুলি চলতে শুরু করে ন্যাশভিলের কভেন্যান্ট স্কুলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ছোট দরজা দিয়ে ঢুকে গুলি চালানো শুরু করে আততায়ী। তারপর একের পর এক ক্লাসরুমে গুলি চালাতে থাকে। বেশ কয়েকটি ঘরে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা আলমারির মধ্যে ঢুকে পড়েন। বেশ খানিকক্ষণ গুলি চলার পর বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যায় বন্দুকবাজ। তার গুলিতে মৃত্যু হয় ৮ বছর বয়সি তিন পড়ুয়ার। স্কুলের প্রধান-সহ আরও দুই শিক্ষকও মারা যান। প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮ বছর বয়সি ওই বন্দুকবাজের নাম অড্রে হেল। রূপান্তরকামী অড্রে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই এই স্কুলে হামলার ছক কষেছিল সে। প্রয়োজনমতো অস্ত্র জোগাড় করে, স্কুলের মানচিত্র এঁকে যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে রেখেছিল। এমনকি ধরা পড়লে আইনের সাহায্যে কীভাবে শাস্তি এড়ানো যায়, সেই নিয়েও পড়াশোনা করে রেখেছিল।