পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘রাস্তাশ্রী’, ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের রতনপুরের প্রশাসনিক জনসভা থেকে এই প্রকল্পের পথ চলা শুরু হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, ‘বাংলায় ১২ হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা পুনর্নির্মাণ করা হবে। রাজ্যের সব কটা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হবে। ২২টা জেলার ৩০ হাজার গ্রামে রাস্তায় কাজ করা হবে। রাস্তা তৈরি করতে পৌনে চার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে’।
মমতা বলেন, ‘২২টা জেলার ৩০ হাজার গ্রামে রাস্তায় কাজ করা হবে। রাস্তা তৈরি করতে পৌনে চার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। সেই টাকার এক পয়সাও দিল্লির টাকা নয়। রাজ্যের টাকা। জিএসটি করার পর দিল্লি সব টাকা তুলে নিয়ে যায়। আমাদের সব থেকে বড় ভুল, ওটাকে সাপোর্ট করা। আমরা ভেবেছিলাম, এতে রাজ্যের লাভ হবে। এখন দেখছি, একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দিচ্ছে না। গ্রামীণ আবাস যোজনা, ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে’।
তাঁর কথায়, ‘এই যে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা হবে, জেলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত করলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের নজরদারি থাকবে। কাজগুলো যাতে তাড়াতাড়ি হয়, তাতে নজর রাখতে হবে। বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে হবে। কে কোথায় টেন্ডার করছেন, কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, দেখতে হবে। জব কার্ড হোল্ডারদের কাজ দেওয়া হবে। যারা দেবেন না, নতুন করে লিস্ট করবেন, নাম বাদ দিয়ে দেব। পিডব্লিউডি সব কাজ একশো দিনের লোকেদের দিয়ে করাব। এখন জল ধরো জল ভরোর সব কাজ একশো দিনের লোকেদের দিয়ে করাব। আমাদের এখানকার গঠনমূলক সব কাজ জব কার্ড হোল্ডারদের দিয়ে করাব। কেন্দ্রকে দেখাব, তুমি না দিলেও বাংলার মেধা-বুদ্ধি আছে’।