দুঃসময় অব্যাহত আদানি গোষ্ঠীর। আজ, মঙ্গলবার ফের গৌতম আদানির সংস্থার ১০টি স্টকের দাম কমল। এই নিয়ে টানা দু’দিন আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার পতন ঘটল। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ারের দাম তলানিতে নেমেছে। যার জেরে আদানি গ্রুপের শেয়ার থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবার আদানি পাওয়ার, আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের মূল্য ৫ শতাংশ হারে কমেছে। এই গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দাম প্রায় ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে আদানি পোর্টসের শেয়ারের দামও প্রায় ৪ শতাংশ হারে কমেছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, এই সংস্থায় এলআইসির বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। শুধু এলআইসি নয়, আদানি গোষ্ঠির শেয়ার বিনিয়োগের তালিকায় রয়েছে ইপিএফও। আদানি গ্রুপ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের পর মনে করা হচ্ছিল আদানির শেয়ারে নতুন করে বিনিয়োগ করবে না এই সংস্থা। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ ও আদানি পোর্টসে বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২৩-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে হিন্ডেনবার্গের পর ‘দ্য কেন’ নামে একটি সংস্থার রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠী ২.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ পরিশোধ করেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এরপরই ফের এই শেয়ারের দরে পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বাড়িয়ে তুলেছে এই শিল্পগোষ্ঠীর।