চরমে পৌঁছল উত্তেজনার পারদ। যার জেরে শেষমেষ মুলতুবিই হয়ে গেল লোকসভা ও রাজ্যসভা। আজ, সোমবার রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে উত্তাল হয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। শুরু থেকেই বিক্ষোভ দেখান বিরোধী নেতারা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা। এরপর পরিস্থিতি হঠাৎই নাটকীয় মোড় নেয়। বিক্ষোভ দেখানোর মাঝেই লোকসভার স্পিকার এম বিড়লাকে লক্ষ্য করে প্ল্যাকার্ড ও কাগজ ছোঁড়েন বিরোধীরা। এই ঘটনার পরই লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায়। সোমবার বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই রণনীতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। এদিনের বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও। বিরোধীদের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মানহানি মামলায় সাজার প্রেক্ষিতে যে সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা কালো জামা ও কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ দেখাবেন। অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপরই লোকসভার স্পিকারকে লক্ষ্য করে প্ল্যাকার্ড ও কাগজ ছুঁড়ে মারেন কয়েকজন বিরোধী দলের সাংসদ।
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবি ও রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে দুই কংগ্রেস সাংসদ টিএন প্রতাপ ও হিবি ইডেন হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। হঠাৎই তাঁরা নিজেদের গলায় পরা চাদর ও সামনের টেবিলে রাখা অর্ডার কাগজগুলি লোকসভার স্পিকারের দিকে ছুঁড়ে মারেন। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন লোকসভার সাংসদ ওম বিড়লা। তিনি বলেন, “আমি মর্যাদার সঙ্গে সংসদ পরিচালন করতে চাই। আজ বিকেল চারটে অবধি লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হল।”। লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যসভাও দুপুর ২টো অবধি মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। এদিন সংসদের বাইরেও, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান। সুর চড়ান মল্লিকার্জুন খাড়গে। “আমরা আজ সবাই কালো পোশাক পরে কেন এসেছি? আমরা দেখাতে চাই যে প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের গণতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছেন। তিনি প্রথমে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে শেষ করে দিয়েছেন, তারপরে যারা নির্বাচনে জিতেছেন, তাদেরও ভয় দেখিয়ে সব জায়গায় নিজেদের সরকার গঠন করেছেন। যারা মাথা নত করতে রাজি নন, এখন তাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই ব্যবহার করছেন”, স্পষ্ট জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা।
