বেজে গিয়েছে পঞ্চয়েত ভোটের রণদামামা। এরইমধ্যে এবার জেলা সফর শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসেই যাচ্ছেন হুগলির সিঙ্গুরে। তাঁর হাত ধরেই সরকারিভাবে পথচলা শুরু করবে পথশ্রী প্রকল্প। এপ্রিলের শুরুতেই আবার যাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরে। একেবারে ৪ দিনের সফর রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, আগামী ৩ এপ্রিল বিকালে কপ্টারে কলকাতা থেকে দিঘায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিন রাতে দিঘায় থাকবেন তিনি। এরপর ৪ এপ্রিল দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা তৃণমূল সুপ্রিমোর।
৫ এপ্রিলও রয়েছে জনসংযোগ কর্মসূচি। কথা বলবেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে উপকৃতদের সঙ্গে। শুনবেন তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা। তাছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই খবর সূত্রের। ৬ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী ফের কলকাতায় ফিরে যাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আগমনবার্তা পেয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে। চলছে বৈঠক। শনিবারই এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। মুখ্যমন্ত্রীর গোটা সফর কীভাবে পরিচালনা করা হবে, কোথায় কীভাবে সমস্ত কর্মসূচির রূপায়ন করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলে। একইসঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও। তমলুকে দলীয় বৈঠক সারেন সৌমেন মহাপাত্র সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, দিঘা সফরে এসে দিঘার জগন্নাথ ধামের গর্ভগৃহ উদ্বোধনও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার সমবায় সমিতির নির্বাচনগুলিতে বিগত কয়েক মাসে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ঘাসফুল শিবির। যদিও খাতায় কলমে না হলেও নন্দকুমার, মহিষাদলের মতো জায়গাগুলিতে সমবায় সমিতির নির্বাচনে অলিখিত ভাবে রাম-বাম জোটের ছবিও দেখতে পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় পঞ্চায়েতও ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া শাসক শিবির। ভোটের আগে জেলায় মমতার এই আগমন বুথ স্তরে দলীয় কর্মীদের নতুন করে অক্সিদেন জোগাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।