এবার বড় উদ্যোগ রাজ্যের। রূপান্তরকামীদেরও নিয়ে আসা হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়। পাশাপাশি, বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদেরও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কয়েকটি জেলা থেকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে নোডাল অফিসার জেলাশাসক। দিনকয়েক আগে স্বাস্থ্যসাথীর রিভিউ মিটিং হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ পরিবার স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবার আওতায় এসেছে। মাসে গড়ে ২০০-২২০ কোটি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয়। এই সব তথ্যের পাশাপাশি আরও একটি বিষয় নজরে এসেছে বিশেষজ্ঞ কমিটির। রূপান্তরকামীরাও স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা পাচ্ছেন। এলাকার সরকারি দফতর থেকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়েছেন। সংখ্যাটা অন্তত ৪৩ হাজার। বস্তুত, রাজ্যের সর্বস্তরে যে এই পরিষেবা পৌঁছে গেছে এটাই তার বড় প্রমাণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্যসাথীর ফর্মপূরণের সময় তিনটি কলাম থাকে। পুরুষ, স্ত্রী ও অন্যান্য। গত দু’বছরের তথ্য বলছে, রূপান্তরকামীরা আগের থেকে অনেক সহজেই নিজের পরিচয় প্রকাশ্যে আনছেন। এবং সমাজের মূল স্রোতে থেকে আর পাঁচজনের মতো কাজ করছেন। তাই সরকারি সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রেও আগের মতো আত্মপরিচয় গোপন করার মতো অবস্থা নেই। অন্যদিকে, বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদেরও স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনার জন্য বিভিন্ন জেলায় কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতার ক্ষেত্রে পুর কমিশনার ও এবং জেলাশাসকরা নোডাল অফিসার হিসাবে কাজ করবেন। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা পাঁচজন বা তার বেশি একযোগে আবেদন করলে তাদের স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য সুবিধাভোগীর পরিবার অর্থাৎ তাঁর ছেলে মেয়ে বা আত্মীয় পরিজন আছে কি না ? অথবা তাঁদের বর্তমান অবস্থা জেনে নেওয়া হয়।