আশঙ্কা আগেই ছিল। হয়েছেও তাই। শুক্রবারই খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। তবে তাতেও দমে না গিয়ে ফের গর্জে উঠলেন সোনিয়া-পুত্র। সেখানেই একটি প্রশ্নের জবাবে যে জবাব দিলেন রাহুল তা শুধু বিজেপির দিকে নয়। বরং বলা ভাল নিশানা ছিল নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর। এদিন রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, অনেকেই বলছেন, আপনি কেন ক্ষমা চাইছেন না? আপনি কি ক্ষমা চাইবেন না? জবাবে রাহুল বলেন, ‘আমার নাম তো সাভারকার নয়। আমার নাম গান্ধী। আর গান্ধীরা কখনও ক্ষমা চায় না।’
সঙ্ঘ বিরোধীদের অনেকে সাভারকার নিয়ে মাঝেমাঝেই খোঁচা দিতে গিয়ে বলেন, ‘যাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনও ভূমিকা ছিল না তারা আজকে দেশপ্রেমের পাঠ দিতে এসেছে। যে সাভারকার ব্রিটিশদের কাছে মুচলেকা দিয়ে, ক্ষমা চেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তাঁকেই বীর আখ্যা দেয়। এদের আবার বড় বড় কথা।’ অনেকের মতে, ইঙ্গিতে এদিন সেকথাই বোঝাতে চেয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘আমি তো বলেছিলাম, সংসদে আমায় একটা বার বলতে দিন। দু’বার চিঠি লিখেছি। হয়নি। নিজে গিয়ে স্পিকারকে বলেছি, আপনি গণতন্ত্রের রক্ষক। আপনি বলতে দিন। তিনি বলেছেন পারবেন না। আমি কি নরেন্দ্র মোদীর কাছে গিয়ে বলব নাকি?’
কংগ্রেস নেতার দাবি, আদানি ইস্যুতে তাঁর ভাষণে ভীত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে তাঁর নামে মিথ্যাচার থেকে শুরু করে সাংসদ পদ খারিজ, সবটাই শুধু আদানি ইস্যুতে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র। রাহুলের সাফ কথা, কোনও কিছু করেই আমাকে চুপ করানো যাবে না। আমি আদানি-মোদীর সম্পর্ক নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছি। এবং তুলতে থাকবে। আমি এসবে ভয় পাই না। ওরা আজও আমাকে বুঝতে পারিনি। এভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। আটকানো যাবে না। তাঁর দাবি, সংসদে এরপর তিনি কী বলবেন, সেটা ভেবেই ভীত সরকার। প্রধানমন্ত্রীর চোখে আমি সেই ভয় দেখেছি। আমাকে বদনাম করার চেষ্টা, থেকে শুরু করে সাংসদ পদ খারিজ, সবটাই আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা।