দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জেলে যেতে হয়েছিল জহরলাল নেহেরুকে। ১ দিনের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকেও। এবার সুরাতের আদালত রাহুল গান্ধীকে কারাদণ্ড দিতেই সাতের দশকের সেই আলোচনা ফের রাজনৈতিক মহল থেকে আমজনতার আড্ডায় উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত, ৪৫ বছর আগে একদিনের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে। তখন তিনি সদ্য প্রধানমন্ত্রী পদ হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭৫-এ জরুরি অবস্থা জারি করেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৭-তে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হতেই ওই বছরের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। কেন্দ্রে সরকার গঠন করে জনতা পার্টি। প্রথম অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোরারজি দেশাই। ওই বছরই অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ইন্দিরাকে। তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দেন জনতা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চরন সিং।
১৯৭৭ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেফতারির পর দিল্লীতে পদস্থ আমলাদের মেসে রাখা হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে। একরাত সেখানে কাটান তিনি। ৪ অক্টোবর আদালতে পেশ করতে অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক আর দয়াল তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। স্বাধীনতার পর মাত্র একদিনের জন্য ইন্দিরার গ্রেফতারি বাদ দিলে, নেহেরু-গান্ধী পরিবারের কাউকেই কখনও জেলে যেতে হয়নি। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হলেও অনেক আইন বিশেষজ্ঞের মতে তাঁর জেলযাত্রার সম্ভাবনা খুবই কম। ইতিমধ্যেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।