হাসতে হাসতেই সে দিন রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কথাটা বলেছিলেন, ‘রামায়ণ সিরিয়ালের পরে এমন শূর্পনখার মতো হাসি আপনার সৌজন্যেই শুনতে পেলাম।’ নিশানায় ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে হেসে ওঠা তেলঙ্গানার কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরি।
মোদীর ২০১৮ সালের সেই মন্তব্য নিয়ে এ বার অপরাধমূলক মানহানির মামলা করার কথা জানালেন রেণুকা। ঘটনাচক্রে, তাঁর দলের নেতা রাহুল গান্ধী গুজরাতের এক বিজেপি নেতার দায়ের করা অপরাধমূলক মানহানির মামলায় দু’বছরের জেলের সাজা পাওয়ার পরেই।
ণুকা লিখেছেন, ‘দেখব এ বার আদালত দ্রুত কী ব্যবস্থা নেয়।’ সেই সঙ্গে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় মোদীর সেই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপিংসও পোস্ট করেছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংসদদের একাংশ জানিয়েছেন, সে দিন রাজ্যসভায় অধিবেশনের শুরুতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সময় মোদী আধার প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। আধারের পরিকল্পনা অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায় হয়েছিল বলে মোদী দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে কংগ্রেস সাংসদ তথা মনমোহন সিংহের সরকারের মন্ত্রী রেণুকা হাসতে শুরু করেন।
রেণুকার সশব্দ হাসিতে বিরক্তি প্রকাশ করেন রাজ্যসভার তৎকালীন অধ্যক্ষ বেঙ্কাইয়া নায়ডু। তিনি কংগ্রেস সাংসদের আচরণের নিন্দা করেন এবং তাঁকে সতর্ক করেন। বেঙ্কাইয়ার এই ধমকের মাঝেই রেণুকার দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বেঙ্কাইয়াকে বলেন, ‘মাননীয় অধ্যক্ষ, আপনাকে অনুরোধ করছি, রেণুকাজিকে কিছু বলবেন না। রামায়ণ সিরিয়ালের পরে এমন হাসি শোনার সৌভাগ্য এত দিনে হল।’ রেণুকার হাসিকে শূর্পনখার হাসির সঙ্গেও তুলনা করেন মোদী।