আশঙ্কা আগেই ছিল। হয়েছেও তাই। শুক্রবার খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। আর তারপরই এবার বিজেপিকে পালটা আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। আজ লোকসভার সচিবালয়ের তরফে রাহুলের সাংসদপদ খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই জয়রাম রমেশ সেই বিজ্ঞপ্তিটি টুইট করে লেখেন, ‘আমরা আইনি ভাবে এবং রাজনৈতিক ভাবে এর বিরোধিতা করব। আমরা ভয় পাব না। চুপ থাকব না। আদানির মহা কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন না করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হল। ভারতীয় গণতন্ত্র ওম শান্তি।’
উল্লেখ্য, গতকালই গুজরাতের আদালত রাহুল গান্ধী দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। এরপরই রাহুলের সাংসদপদ খারিজ নিয়ে জল্পনা চলছিল। এরপরই আজ লোকসভার সচিবালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কংগ্রেস নেতার সাংসদপদ খারিজের কথা জানানো হয়। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজের দাবি তুলে এসেছিল বিজেপি। সংসদে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং গৌতম আদানির ছবি দেখানোর বিরোধিতায় রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হয়েছিল। এদিকে লন্ডনে ভারতের গণতন্ত্র এবং সংসদীয় কার্যক্রম নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্যও রাহুলের সাংসদপদ খারিজের দাবি তোলা হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে।
তবে সেই সব কারণে নয়, রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ হল ২০১৯ সালের এক জনসভায় মোদীকে নিয়ে করা এক মন্তব্যের জেরে। সে বছর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘সব মোদীরা কেন চোর হয়?’ তিনি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে, নীরব মোদী, ললিত মোদীকে বোঝাতে এই মন্তব্য করেছিলেন। তবে এতে ‘মোদী’ পদবীর সকলের অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই মর্মে সুরাতের এক আদালতে রাহুল গান্ধীর নামে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার রায়ে রাহুলকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এদিকে আইন অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি যদি দুই বা তার অধিক বছরের জন্য কারাদণ্ডের সাজায় দণ্ডিত হন, তবে তৎক্ষণাত তাঁর পদ খারিজ হবে।