আগামী বছরই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটযুদ্ধকে সামনে রেখেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। তৎপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিরোধী-জোট তৈরির ছক ইতিমধ্যেই সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সেই প্রক্রিয়া আরও খানিকটা গতি পেল শুক্রবার। এদিন কালীঘাটে এসে মমতার সঙ্গে দেখা করে গেলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামী। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সম্ভাব্য জোট প্রক্রিয়ার পাশাপাশি কর্ণাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আজ কলকাতায় এসেই কালীঘাটে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান জেডিএস নেতা কুমারস্বামী। বেশ কিছুক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মধ্যে বৈঠক হয় তাঁর। ঠিক কোন বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে মুখ খোলেননি কেউ-ই। তবে জানা গিয়েছে বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। বৈঠকে শিঙ্গাড়া, মিষ্টি সহযোগে জলযোগও হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এদিন জেডিএস নেতা মূলত তৃণমূল নেত্রীকে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে যাওয়ার জন্য মমতাকে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন। আসলে মাস দু’য়েকের মধ্যেই কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। তাতে কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি লড়াইয়ে আছে কুমারস্বামীর জেডিএসও। কুমারস্বামী চাইছেন, মমতাকে প্রচারে নিয়ে গিয়ে চমক দিতে। তবে তৃণমূল নেত্রী ব্যস্ততার কারণে নিজের অপারগতার কথা কুমারস্বামীকে জানিয়েছেন। মমতা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, “কর্ণাটকে যেভাবেই হোক বিজেপিকে হারাও। ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাতে হলে ২০২৩ সাল থেকেই লড়াইটা শুরু করতে হবে। আগের বার বিজেপি জোট ভেঙে কর্ণাটকে সরকারে এসেছিল। এবার যেন সেটা না হয়।” উল্লেখ্য, এই নিয়ে গত কয়েকদিনে বিরোধী শিবিরের ৩ নেতার সঙ্গে দেখা করলেন মমতা। সকলেই কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমান দূরত্ব বজায় রেখে বিকল্প জোট গঠনের পক্ষে। এর আগে অখিলেশ যাদব কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।