কড়া ডেডলাইন দিয়েছে মোদী সরকার। আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে প্যান ও আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ। ওই একইদিনে শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবর্ষও। এই সময়ের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে আরও বেশ কয়েকটি জরুরি কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজগুলি না করলে জরিমানা গুণতে হতে পারে। এক নজরে দেখে নিন সময়ের মধ্যে অবশ্যই কোন কাজগুলি সেরে ফেলতে হবে। ৩১শে মার্চের মধ্যেই দু’টি পরিচয়পত্রের সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। একাধিকবার এই কাজের সময়সীমা বাড়ালেও কেন্দ্রের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর বাড়বে না সংযুক্তিকরণের সময়। আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ডের যোগ না থাকলে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন করা যাবে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩১শে মার্চের মধ্যেই সমস্ত ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের কেওয়াইসি নথি জমা দিতে হবে। তা না হলে পরিষেবা ব্যাহত হবে বলেই ধারণা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গ্রাহকদের পরিচয় সংক্রান্ত নথি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে বাকি মাত্র ৭ দিন। যেসমস্ত ব্যক্তি আয়করের আওতায় পড়েন, এই সময়ের মধ্যেই কর বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করতে পারবেন তাঁরা। মিউচুয়াল ফান্ড, পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার মতো একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে কর বাঁচাতে পারবেন সকলেই। তবে ৩১শে মার্চের পরে বিনিয়োগ করলে লাভ হবে না করের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে মিউচুয়াল ফান্ডে বাধ্যতামূলক ভাবে নমিনি রাখতে হবে বিনিয়োগকারীদের। নমিনি না থাকলে মিউচুয়াল ফান্ডে জমা থাকা অর্থ ব্যবহার করা যাবে না। ৩১শে মার্চের মধ্যেই নমিনেশনের প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হবে।
এছাড়া, ৬০ বছর বয়সের পর যদি পেনশন পেতে কেউ আগ্রহী হন, তাঁদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্র। এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়া যায়। তারপরে বার্ষিক ৭.৪ শতাংশে সুদ পান আমানতকারী। বিশেষ এই প্রকল্পে বিনিয়োগের সময়সীমাও শেষ হচ্ছে ৩১শে মার্চ। প্রতিবছরের মতোই ৩১শে মার্চের মধ্যেই আয়ের বার্ষিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই দিনের মধ্যেই জমা দিতে হবে ২০২১-২০২২ সালের আয়ের যাবতীয় হিসাব।