উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবারই রাজনৈতিক কার্যকলাপ ও বিজেপি নেতাদের যাতায়াত দেখা যাচ্ছে কবিগুরুর ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতীতে। এ নিয়ে আগেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন বলেও এর আগে অভিযোগ উঠেছে। আর এবার পাঠভবন এলাকায় এবিভিপির জেনারেল সেক্রেটারি ইয়াগেলকা শুক্লাকে ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করার অনুমতি দিয়ে ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে সরব অন্যান্য ছাত্র সংগঠন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিকভাবে কোনও ভোটাভুটি হচ্ছে না। কিন্তু রয়েছে সমস্ত ছাত্র সংগঠনই। তবে বর্তমানে বিশ্বভারতীর ভিতরে সমস্ত রকম রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ। মিটিং-মিছিল তো দূরের কথা, অন্দরে প্রবেশ করতেও নিরাপত্তারক্ষীদের সম্মুখীন হতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। সেখানে পাঠভবন এলাকায় এবিভিপির বৈঠকে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আগেও বারবার বিজেপির নানান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিশ্বভারতীর আশ্রম চত্বরে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বৈঠককে কেন্দ্র করে উঠছে বহু প্রশ্ন। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের প্রশ্ন, ‘বিশ্বভারতীর সমস্ত বিষয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া ভূমিকা দেখা যায়, শুধুমাত্র বিজেপির ছাত্র সংগঠনের আলোচনা চক্র বলেই কী এবার চুপ কর্তৃপক্ষ?’
