নিয়োগে যে দুর্নীতি বা সুপারিশের কথা বলা হচ্ছে সেই সুপারিশ এসেছে অনেক নিচু স্তর থেকে। তার পরে কেউ ওএমআর শিট তৈরি করেছেন। কেউ প্রশ্ন তৈরি করেছেন। এখানে শিক্ষামন্ত্রীর কী ভূমিকা থাকতে পারে? স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম কেন আসবে? এবার আদালতের কাছে জানতে চাইলেন পার্থের আইনজীবী। তাঁর যুক্তি, যেখানে দুর্নীতির অভিযোগের এফআইআরেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নামই ছিল না, সেখানে কোনও প্রমাণ ছাড়া কী ভাবে তাঁকে ১০ মাস আটকে রাখা যায়?
প্রসঙ্গত, আজ, বৃহস্পতিবার নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত পার্থের শুনানি ছিল। সেখানে পার্থের জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতে একের পর এক যুক্তি দেন আইনজীবী। পার্থের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বিচারককে বলেন, পার্থ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আর নিয়োগে যে দুর্নীতি বা সুপারিশের কথা বলা হচ্ছে তা হয়েছে অনেক নিচু স্তরে। সুপারিশ এসেছে অনেক নিচু স্তর থেকে। তার পরে কেউ ওএমআর শিট তৈরি করেছেন। কেউ প্রশ্ন তৈরি করেছেন। একজন মন্ত্রীর এখানে কী ভূমিকা থাকতে পারে? পার্থের আইনজীবীর কথায়, ‘পার্থ কী করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী, তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে। শুধু কনস্পিরেটর বা মাস্টারমাইন্ড বলে দিনের পর দিন আটকে রাখা যাবে না।’