বামজমানায় শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগে তিন ভয়ংকর কেলেঙ্কারি রীতিমতো তথ্য তুলে ফাঁস করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে দু’টি ক্ষেত্রের দুর্নীতি হাই কোর্টের নির্দেশেই সংশোধন করে প্রকৃত দাবিদারদের নিয়োগ করেছে রাজ্য। তৃতীয় অভিযোগটি আরও মারাত্মক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ামক মনীষা মুখোপাধ্যায়ের অন্তর্ধান রহস্য।
বামজমানায় শিক্ষাক্ষেত্রের তিন বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘র্যাঙ্ক জাম্পিং, পরীক্ষার নম্বর বিকৃতির অজস্র ঘটনা ঘটেছে। বছরের পর বছর মামলা চলার পর হাই কোর্টের নির্দেশে সুবিচার পেয়েছেন বামনেতাদের চক্রান্তে বঞ্চিত ও প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা এতটাই চরমে পৌঁছয় যে শেষে কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ওই সহকারী পরীক্ষানিয়ামক উধাও হয়েছেন।’ তৃণমূলকে টার্গেট করে কুৎসা করা বামনেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন ফের মনীষাকাণ্ডের তদন্ত নতুন করে শুরুর দাবিও করেছেন কুণাল।
বিধায়ক মদন মিত্রও মনীষার অন্তর্ধান নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ‘মনীষার মা চিনুদেবী আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন, বিমান বসু বাইরে গেলে মনীষাকে তাঁর সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেন।’ নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর এক কটাক্ষের জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল বলেন, ‘বামজমানায় সিপিএম নেতাদের পরিবার, পরিজন, আত্মীয়দের মধ্যে কে কতগুলি সরকারি চাকরি ও শিক্ষকের নিয়োগ পেয়েছেন তাঁর তালিকা দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক আলিমুদ্দিন।’