২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন সন্তোষ রায়। বর্তমানে তিনি রাজ্য বিজেপির কার্যকরী কমিটির সদস্য। এবার ২০ বছর আগে চুরির অভিযোগে একজনকে মারধরের দায়ে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হল সেই তাঁকেই।
২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর মেমারির পাল্লারোডে চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়েছিল শ্রীবাস মধু নামে এক ব্যক্তিকে। কয়েকদিন পরেই মৃত্যু হয়েছিল মারধরে জখম শ্রীবাস মধুর। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপি নেতা সন্তোষ রায়ের। মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শ্রীবাস মধুর আত্মীয় রবীন বিশ্বাস। তখন থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ সন্তোষ রায়কে গ্রেফতার করেনি। অভিযোগপত্রে সন্তোষের বাবার নাম লেখা হয়েছিল সুনীল রায়। কিন্তু যে সন্তোষ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বাবার নাম সুশীল রায়। মনে করা হচ্ছে শাস্তি এড়াতেই বাবার নাম বদলে দিয়েছেন তিনি।
যদিও আদালতে দাঁড়িয়ে ধৃত সন্তোষ রায় জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশ বেশ কয়েকবার তাঁর বাড়িতে আসে জনৈক সন্তোষের খোঁজে। যার বাবার নাম সুনীল রায়। তিনি বলেন, ‘বারবার এই ভুল হচ্ছে দেখে আমার বাবা লিখিতভাবে পুলিশসুপারকে জানান, সুনীল রায়ের ছেলের খোঁজে বারবার আমাদের বাড়িতে আসছে পুলিশ। যে ঘটনা হয়েছিল তা আমার বাড়ি থেকে অনেক দূরে। সেখানে গণপিটুনির ঘটনায় কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’