সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশন আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু ৩১ মার্চেই তা ইতি টেনে দেওয়া হতে পারে।
বিজেপির একাধিক সূত্র থেকে এমন আভাস মিলেছে। বিরোধী দলগুলিও তেমন আশঙ্কা করছে। বিগত সপ্তাহের মতো গত দু’দিন সংসদের দুই কক্ষে তুমুল হট্টগোল চলে। তারই মধ্যে সরকার লোকসভায় দুটি অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। বাজেট বরাদ্দের অতিরিক্ত খরচের জন্য সংসদের অনুমোদন নিতে এই বিল পাশ করানো বাধ্যতামূলক।
সরকারের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফিন্যান্স বিল পাশ করানো। তারজন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় আছে। ফিন্যান্স বা অর্থ বিল পাশ না করালে ১ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার একটি টাকাও খরচ করতে পারবে না। মনে করা হচ্ছে আজকালের মধ্যে ফিন্যান্স বিল ধ্বনি ভোটে পাশ করিয়ে নিয়ে সংসদের অধিবেশন আগাম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কারণ, রাহুল গান্ধী এবং আদানি বিতর্ক নিয়ে শাসক দল বিজেপি ও সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলগুলির কোনওরকম সমঝোতার রাস্তা খোলা যায়নি। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র মঙ্গলবার রাহুলকে এ যুগের মিরজাফর বলে দেগে দিয়ে বিরোধ আরও বাড়িয়ে তুলেছেন। বিজেপির দাবি, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই’, লন্ডনে বলা এই কথার জন্য রাহুল গান্ধীকে সংসদে দাঁড়িয়েই ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ১৮টি বিরোধী দলের দাবি, আদানি ইস্যুতে সরকারকে সংসদের যৌথ তদন্ত কমিটি গড়তে হবে।
শাসকদলের অনেকের আশঙ্কা, জেপিসি হলে সরকারের সঙ্গে আদানিদের সম্পর্কের অনেক অজানা তথ্য সামনে চলে আসবে যা শুধু বিরোধীদের হাত শক্ত করবে তাই-ই নয়, দেশের বণিক মহলের সামনেও সরকারের অস্বস্তি বাড়বে। সরকার কিছুতেই এই দাবি তাই মানতে রাজি নয়। ওই দাবিতে মঙ্গলবার সংসদের করিডরে বিরোধীরা বিক্ষোভ মিছিল করে যার নজির কমই আছে। জেপিসি ছাড়া তারা পিছু হটবেন না, এই বার্তা দিতেই গতকাল করিডরে মিছিল করে বিরোধী দলগুলি। আলাদা মিছিল করে তৃণমূল।