দীর্ঘ অসুস্থতার পর প্রয়াত হলেন মহাত্মা গান্ধীর নাতনি ঊষা গোকানি। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মণি ভবনের সম্পাদক মেঘশ্যাম আজগাঁওকর পিটিআইকে জানিয়েছেন, ৮৯ বছর বয়সী ঊষা গোকানি গত পাঁচ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং গত দুই বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। মুম্বইয়ের গান্ধী স্মারক নিধির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ছিলেন ঊষা। মণি ভবনে অবস্থিত ছিল এই গান্ধী স্মারক নিধি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এই মণি ভবনের। জানা যায়, ঊষাদেবী নিজের শৈশব কাটিয়েছেন ওয়ার্ধার সেবাগ্রাম আশ্রমে। এই আশ্রমটি মহাত্মা গান্ধী নিজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে গান্ধী স্মারক নিধির দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ে গান্ধীর গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গান্ধী স্মারক নিধি।
প্রসঙ্গত, মণি ভবনে গান্ধীবাদী শিক্ষার প্রচারে নিযুক্ত দুটি সংস্থা রয়েছে। গান্ধী স্মারক নিধি মুম্বই এবং মণি ভবন গান্ধী মিউজিয়াম। মহাত্মা গান্ধী তাঁর জীবদ্দশায় যেসব সেবামূলর কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ঊষাদেবী। স্মারক নিধি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫৫ সালের ২রা অক্টোবর কাজ শুরু করে। সেদিনই মণি ভবন হস্তান্তর করা হয়েছিল তৎকালীন গান্ধী মেমোরিয়াল সোসাইটির কাছে। প্রসঙ্গত, মহাত্মা গান্ধী প্রায়ই মণি ভবনে থাকতেন। ১৯১৭ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত একাধিকবার এখানে এসে থেকেছেন গান্ধীজি। দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের বহু অজানা কথা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সাক্ষী থেকেছে মণি ভবন।