এবার বিলকিস বানোর আর্জিতে সাড়া দিল দেশের শীর্ষ আদালত। মেয়াদ শেষের আগেই ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিলকিস। এবার। সুপ্রিম কোর্টে ফের শোনা হবে তাঁর মামলা। আর্জি মেনে ১১ জন ধর্ষক ও খুনির সাজার মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখতে নতুন বেঞ্চ গড়ল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা। বিগত ২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে গণধর্ষণ করা হয় ২১ বছর বয়সী বিলকিস বানোকে। দীর্ঘ বিচারের পরে এগারোজন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। চোদ্দো বছর জেলে কাটানোর পরে সাজা মকুব করার আবেদন জানায় রাধেশ্যাম শাহ নামে এক দোষী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয়, শাস্তির সাজা পুনর্বিবেচনা করতে। প্রথা ভেঙেই গত ১৫ই আগস্ট ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিসকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাতের বিজেপিশাসিত সরকার।
১১ অপরাধীর মুক্তির পক্ষে সওয়াল করা হয়। এর পরই ১১ জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শীর্ষ আদালত। মুক্তির পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ওই অপরাধীদের সংবর্ধনা দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল একাধিক মহলে। কেন মেয়াদ শেষের আগে ১১ জন ধর্ষক ও খুনিকে ছাড়া হল, এ নিয়ে বিতর্ক বাধে। বিতর্কের মধ্যেই গুজরাত সরকার জানায় যে, জেলে ওই ১১ জন ধর্ষক ও খুনি ‘ভাল আচরণ’ করেছেন, সে কারণেই তাঁদের সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে। গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি নিয়ে বিলকিস গত আগস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই চালাচ্ছেন। এর আগে চারবার মামলাটি আদালতে উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি। অবশেষে বুধবার বিলকিস বানোর আর্জি মেনে ১১ জন ধর্ষক ও খুনির সাজার মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখতে নতুন বেঞ্চ গড়েছে শীর্ষ আদালত।