একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অব্যাহত ভাঙন। দিকে দিকে দলত্যাগ করছেন নেতা-কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও বজায় রয়েছে সেই ধারা। এবার যেমন বর্ধমানে ক্রমশই চাপ বাড়ছে তাদের ওপর। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সহ সভাপতি শ্যামল রায় পদত্যাগ করেছেন। এবার তা সংক্রমিত হচ্ছে অন্য নেতাদের মধ্যেও। বিক্ষুব্ধ নেতারা দল বেঁধে পদত্যাগ করতে চলেছেন বলে খবর। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ডজনখানেক বিজেপি নেতা পদত্যাগ করতে চলেছেন। জানা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে রয়েছেন চার-পাঁচজন মণ্ডল সভাপতি। তাছাড়া গণ সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন তালিকায়। কয়েকজন জেলা কমিটির সদস্যও পদত্যাগের পথে হাঁটতে পারেন।
ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করে শ্যামল রায় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, জেলা সভাপতি সিপিএমের লোক। পুরনো দলের স্টাইলে বিজেপিকে চালাতে চাইছে। সেইসঙ্গে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের বক্তব্য, জেলা সভাপতি নিজে প্রোমোটার। তাই বর্ধমান শহরজুড়ে তৃণমূলের প্রোমোটাররাজের বিরুদ্ধে দলকে আন্দোলনে নামাচ্ছেন না। এ হেন কোনও অভিযোগ নিয়েই বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। অন্যদিকে, তৃণমূলের বক্তব্য, বর্ধমানে বিজেপি আর কয়েকদিন বাদে পার্টি অফিস খুলতে পারবে না। ওদের লোকেরাই ওদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেবে। জানা গিয়েছে, গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য নেতৃত্বও। বিক্ষুব্ধ নেতাদের রাজ্য নেতারা ফোনে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জেলা সভাপতি বদল না হলে তাঁরা পার্টির কাজ করবেন না।