বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব ঠিক থাকলে দুয়ারে সরকারের শিবির মিটলেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যেতে পারে। এরমধ্যেই ভোট সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা জারি করল কমিশন। নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসেবে কারা কাজ করবেন, এবং তাঁদের নিয়োগ কীভাবে হবে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
বাংলার ২২টি জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, পুরকর্মী, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভোটকর্মী হিসেবে নিযুক্ত করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এইসব ভোটকর্মীদের কীভাবে নিয়োগ করা হবে এবং তাঁদের ট্রেনিং কীভাবে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশেই নির্বাচনে ভোটকর্মী ও প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকরাই সেই জেলার নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে কাজ করবেন। তবে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবেন না। এমনকী যে ব্লকে নির্বাচন হচ্ছে সেখানকার কাউকেই ভোটকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না।