মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা, জেলে পোরা, বাড়িতে হানা দিয়ে টাকা-নথি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে নজির গড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই। এ নিয়ে বারবার উঠেছে বিতর্কের ঝড়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কি ইডি-সিবিআইকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি? উঠেছে প্রশ্ন। তবে এবার দেশের বাইরে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পলাতক ঋণখেলাপী হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় কার্যত জল ঢেলে দিল ইন্টারপোল। চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা। মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে পিএনবি লোন জালিয়াতি মামলা রয়েছে ১৩,৫০০ কোটি টাকার। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁকে ধরার আগেই তিনি দেশ ছেড়ে পালান।
বর্তমানে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগা-বারবুডায় রয়েছেন চোকসি। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল সিবিআই। ইন্টারপোলের মাধ্যমে চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু সেই নোটিশ বর্তমানে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে গায়েব! ভারতে চোকসির আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল বলেছেন, “আমার মক্কেলের ভদ্রতা এবং তাঁর আইনি টিমের চেষ্টায় রেড কর্নার নোটিশ প্রত্যাহার হয়েছে। সত্যিটা সামনে এল।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কোনও মন্তব্য করেনি। জানা গিয়েছে, চোকসির একটি আবেদনের ভিত্তিতে রেড কর্নার নোটিশ প্রত্যাহার করেছে ইন্টারপোল। ২০২১ সালে চোকসি অভিযোগ করেন, তাঁকে কিছু ভারতীয় এজেন্ট ক্যারিবিয়ান দেশ অ্যান্টিগা-বারবুডা থেকে অপহরণ করে ডমিনিকাতে নিয়ে যান। সূত্রের খবর, ইন্টারপোলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিগা থেকে ডমিনিকায় আবেদনকারীর অপহরণের মামলা তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য হতে পারে। আর সেখানে স্বচ্ছ ট্রায়াল না হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ২০১৮ সালে ভারত ছেড়ে পালান চোকসি। তার কয়েকদিন পরেই চোকসি এবং তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে মামলা করে সিবিআই।