সম্প্রতি আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। শেয়ার বাজারে তাঁদের যে অবস্থান, তার অনেকটাই কৃত্রিম। আর তারপর থেকেই কংগ্রেস-সহ দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তুলেছে। মোদী সরকারকে চেপে ধরেছে। আসলে গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি তাদের ‘প্রোমোটার গোষ্ঠী’র অংশ বলে আদানি গোষ্ঠী স্বীকার করে নিয়েছে। এর পরে আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে বলে বিরোধী শিবির মনে করছে।
গতকাল তারা সংসদে সরাসরি মোদী সরকারকে ‘আদানি সরকার’ তকমা দিয়ে ‘আদানি সরকার হায় হায়’ বলে স্লোগান তুলেছে। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলের সাংসদেরা সংসদ চত্বরে গান্ধী-মূর্তির সামনে ধর্নায় বসে জেপিসি-র দাবি তুলেছেন। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শিল্পপতি গৌতম আদানির গোষ্ঠীর শেয়ারে তাঁর দাদা বিনোদের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় সংস্থা লগ্নি করে আদানির শেয়ারের দর কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই সংস্থাগুলি মূলত বিদেশের বিভিন্ন করফাঁকির স্বর্গরাজ্যে তৈরি করা হয়েছিল। যাতে আদানিদেরই টাকা ঘুরপথে ফের আদানিদের শেয়ারে লগ্নি করে শেয়ার দর বাড়ানো যায়।
আদানি গোষ্ঠীর এত দিন দাবি ছিল, তাদের কোনও শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত সংস্থার পদে নেই বিনোদ। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আদানি গোষ্ঠী বৃহস্পতিবার জানায়, বিনোদ তাদেরই ‘প্রোমোটার গোষ্ঠী’র অংশ। মালিকদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কংগ্রেসের বক্তব্য, আদানি পরিবার ‘এনডেভার ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ নামক সংস্থা খুলে অম্বুজা সিমেন্টস ও এসিসি লিমিটেড অধিগ্রহণ করেছিল। তার লাভ গিয়েছিল বিনোদ ও রঞ্জনাবেন আদানির কাছে। বিনোদের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর সম্পর্ক না থাকলে এটা কী ভাবে সম্ভব?