সম্প্রতি বিলেতের মাটিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন যে লোকসভায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়। সংসদে মাইক বন্ধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদের এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপি সাংসদরা তাঁর থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করছেন।
এদিকে আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্ক নিয়ে পালটা সুর চড়িয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। এই আবহে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে প্রতিদিনই সংসদ প্রায় অচল থাকছে। এই আবহে শুক্রবার লোকসভার সম্প্রচার ২০ মিনিট ‘মিউট’ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করল কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল ১১টার সময় অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সংসদ টিভিতে লোকসভার সম্প্রচার ২০ মিনিট ধরে মিউট রাখা হয়। অর্থাৎ, সংসদের কোনও আওয়াজ টিভিতে সম্প্রচার করা হয়নি। নীরব চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে খালি।
শুক্রবার লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার ২০ মিনিট পর তা মুলতুবি ঘোষণা করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। এই ২০ মিনিট ধরে বিরোধী সাংসদরা সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। কংগ্রেস সাংসদরা বলতে থাকেন, ‘রাহুল গান্ধীকে বলতে দেওয়া হোক।’ তবে এই গোটা সময় সাধারণ মানুষ টিভিতে এই সব স্লোগান শুনতে পাননি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ করে একটি টুইট করা হয় কংগ্রেসের তরফে। তাতে লেখা হয়, ‘আগে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য সংসদে মাইক বন্ধ রাখা হত। এখন মোদীর বন্ধুদের বাঁচাতে সংসদের সম্প্রচার মিউট করে দেওয়া হচ্ছে।’ অপর এক টুইট বার্তায় কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়, ‘রাহুল গান্ধীকে বলতে দেওয়া হোক – এই স্লোগান উঠতেই স্পিকার ওম বিড়লা মুচকি হাসেন এবং এরপর সম্প্রচার মিউট করে দেওয়া হয়। এটাই কি গণতন্ত্র?’